মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন চালকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
চালকদের দাবি, বগুড়া জেলা পুলিশ সহায়তার আশ্বাস দিলেও অন্য জেলায় জরিমানা ও অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে চালকদের। তাই বাধ্য হয়ে বাস চালানো বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বেলা ১১টার পর থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বগুড়া থেকে নওগাঁ, সান্তাহার, আক্কেলপুর, আবাদপুকুর, চাঁপাপুর ও মোলামগাড়িতে। অন্যদিকে বগুড়া-জয়পুরহাট ও বগুড়া-গাইবান্ধা রুটে বাস চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন চালকরা। নতুন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে হয়রানি করা হবে না এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ নভেম্বর সকাল থেকে বাস চলাচল স্বাভবিক হয়।
এসময় পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছিল, ২২ নভেম্বরের মধ্যে নতুন আইন শিথিলের চূড়ান্ত আশ্বাস না পেলে স্বেচ্ছায় কাজ বন্ধ রাখবেন তারা। নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই আবারও ছয়টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন চালকরা।
বাস না চলায় ওইসব রুটের যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। এই সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন অটোরিকশা চালকরা।
দুঁপচাচিয়া উপজেলার বাসিন্দা এমদাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দুঁপচাচিয়ার স্বাভাবিক বাস ভাড়া ৩০ টাকা হলেও অটোরিকশায় তাকে ৬০ টাকা দিতে হচ্ছে।
শহরের খান্দার এলাকার তাসলিমা বেগম জানান, আক্কেলপুরে গ্রামের বাড়িতে ধানকাটার কাজে যাওয়া জরুরি হলেও তিনি যেতে পারছেন না।
এদিকে বাস চালক হোসেন আলম জানান, সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি গাড়ি চালাবো না। পুলিশ কথা দিলেও চালকরা হয়রানি হচ্ছে। এই আইনে আমরা গাড়ি চালাবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
কেইউএ/কেএসডি