এ কারণে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর সড়কগুলোতে গত কয়েকদিনের তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
সরেজমিনে সড়কগুলোতে তেমন যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। গণপরিবহনের অপেক্ষায় যাত্রীরা ভিড় করছেন প্রতিটি পয়েন্টে। আবার বাস না পেয়ে হেঁটেই রওনা দিচ্ছেন অনেকে। ডেকে ডেকে ভাড়া নির্ধারণ করে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার দিয়ে রাইড শেয়ার করছেন অনেকেই। এক্ষেত্রে রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ।
জানাতে গিয়ে মিরপুর থেকে মতিঝিলগামী বিকল্প পরিবহনের ড্রাইভার ইলিয়াস বলেন, মিরপুর ১২ নম্বর ছেড়ে গাড়ি ১০ নম্বরে যেতেই মামলা খাওয়া লাগে। গাড়ির কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও কোনো না কোনো দোষ ধরে পুলিশ মামলা দেবেই। আর এখন তো পাঁচ হাজার টাকার নিচে কোনো মামলা নেই। তাই এ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার থেকে ধর্মঘট হলেও বেশিরভাগ ড্রাইভার মঙ্গলবার থেকেই গাড়ি বের করেননি।
পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্রমিক নেতারা তাদের গাড়ি চালাতে নিষেধ করেছেন। বুধবার থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হচ্ছে এতটুকুই জানেন। এর চেয়ে বেশি জানেন না।
এদিকে গণপরিবহন সংকটে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। বাস না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকে আবার হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে নারীরা।
কারওয়ান বাজার মোড়ে বাসের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত সৈয়দা শারমিন বাংলানিউজকে জানান, রাস্তায় বাস কম বিষয়টি জানতে পেরে আগেই অফিস থেকে বের হয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, দেড়ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠতে পারছি না। অনেকক্ষণ পরপর একটা বাস এলেও ভিড়ের কারণে উঠতে পারছি না।
এদিকে, রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট থাকায় উবার, পাঠাওসহ বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং অ্যাপসের রাইডারদের চাহিদা রয়েছে অনেক। কিন্তু বেশিরভাগ মোটরসাইকেল রাইডার অ্যাপস ছাড়া সরাসরি যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া ঠিক করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএএম/ওএইচ/