মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে বিশেষ প্রেস কনফারেন্সে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী একথা বলেন।
এসময় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গোটা দেশে লবণের কোনো ঘাটতি নেই, ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
‘বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায় বেশ কয়েকটি লবণের কারখানা রয়েছে। সেখানে মালিক সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন লবণের কোনো ক্রাইসিস নেই। যদি দেখাও দেয়, তবে তাদের কাছে যে লবণ মজুদ রয়েছে তা দিয়ে বরিশাল বিভাগের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ঝালকাঠিতে এই মুহূর্তে মোট ৬ হাজার ৩৭৮ মেট্রিকটন লবণ মজুদ রয়েছে, যার মধ্যে ৬৪ মেট্রিকটন প্যাকেট করা অবস্থায় এবং ১৭০ মেট্রিকটন প্যাকেটজাত করার অপেক্ষায় রয়েছে। ঝালকাঠিতে মজুদ করা মোট লবণ দিয়ে দু’মাসের বেশি সময় বরিশালের চাহিদা মিটবে।
তিনি আরও বলেন, লবণের মৌসুম শুরু হয়েছে এই নভেম্বর থেকে যা আগামী মার্চ পর্যন্ত চলবে। ফলে মজুদ লবণের সঙ্গে নতুন লবণের উৎপাদনও শুরু হয়ে গেছে। যে কারণে লবনের ঘাটতির সুযোগ কখনই সৃষ্টি হবে না।
এসময় তিনি জনসাধারণকে গুজবে কান না দিয়ে অতিরিক্ত লবণ কেনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের লবণ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, গোটা বরিশালে প্রশাসন সজাগ রয়েছে। বেশি দামে লবণ বিক্রি বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে। এরইমধ্যে বরিশাল নগর, হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জে ৬ ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পাশাপাশি গুজবে কান না দিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য জনসাধারনকে সচেতন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গুজব সৃষ্টিকারী ও মজুদকারীদের সন্ধানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার সাইফুর ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঞা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সমিতির নেতাসহ জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএস/এএ