ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা-না’গঞ্জ যানবাহন বন্ধ, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
ঢাকা-না’গঞ্জ যানবাহন বন্ধ, ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

নারায়ণগঞ্জ: পরিবহন শ্রমিকদের আকস্মিক আন্দোলনের কারণে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী সব যানবাহন বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানচলাচলও। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস-আদালতগামী কর্মজীবী, স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। সাইনবোর্ড পর্যন্ত রুট ভেঙে ভেঙে যেতে পারলেও তারপর একেবারেই পায়ে হেঁটে অনেক পথ পার হতে হচ্ছে তাদের।

কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়া বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী সব যানবাহন বন্ধ করে দেন। এছাড়া ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকামুখী সড়ক সাইনবোর্ডে এলোপাতাড়িভাবে বাস-ট্রাক ফেলে শ্রমিকরা বন্ধ করে দেন যান চলাচল। এতে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়।

ওই এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের চাষাঢ়া থেকে চলছে না কোনো লেগুনা কিংবা বাস। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা কিংবা দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া পরিবহন শ্রমিকরা বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন।

এই অরাজক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রা করা যানবাহনের যাত্রীরা। কারণ তারা অনেকদূর পথ পাড়ি দিয়ে এসে এখন শেষ পর্যায়ে আটকা পড়েছেন। কখন ঢাকা পৌঁছাতে পারবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। আবার ঢাকা থেকে যারা এই দু’টি মহাসড়কের পথে রওনা করেছেন তারাও সাইনবোর্ডে এসে আটকে আছেন। কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এমন ধর্মঘটে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।  সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে শ্রমিকদের অবস্থান, ভোগান্তি লাখো মানুষের।  ছবি: বাংলানিউজকর্মজীবী আদনান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই ঢাকামুখী সব যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে অফিসে যেতে পারছি না। অনেক কষ্টে ভেঙে ভেঙে এসেছি সাইনবোর্ড পর্যন্ত, কিন্তু এরপর আর কোনো যানবাহন যাচ্ছেও না, আসছেও না। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।  

ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সায়মন বলেন, আমার ক্লাস সকাল ১১টায়। সকাল ৯টায় বের হয়েছি, এখনো সাইনবোর্ড। আজকের ক্লাস ধরতে পারবো বলে মনে হয় না। জরুরি ক্লাস ছিল আজকের। অনেক দূর পায়ে হেঁটেও ভেবেছিলাম সাইনবোর্ড এসে কিছু একটা পাবো চলে যাবো। কিন্তু এখানে এসে তো দেখি আরও বড় ধর্মঘট।

জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই (প্রশাসন) মোল্যা তাসনিম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার অংশে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। সাইনবোর্ড এলাকায়ও তারা এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া বাকি সড়কে চলছে যানবাহন, তবে কম।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।