বুধবার (২০ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক এবং টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কে কোনো লোকাল বাস অথবা দূরপাল্লার বাস চোখে পড়েনি। মহাসড়কগুলো দেখলে মনে হবে এগুলো শুধু রিকশা-সিএনজি-লেগুনা ও ভ্যান চালাচলের জন্য।
টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কের কয়েকটি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু বাস নেই। যে যেভাবে পারছে সেভাবে অটোরিকশা-ভ্যান-সিএনজি অথবা পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, নবীনগর, বাইপাইল, জামগড়া ও আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে দু-একটি বাস, কিছুসংখ্যক ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চললেও এখন একেবারেই বন্ধ। এছাড়া কয়েকটি লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার চলেছে।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা রতন ইসলাম মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, বগুড়ায় যাবো। সকাল থেকে কোনো পরিবহন পাইনি। দুই একটা বাস চলেছে কিন্তু তারা ধর্মঘটের নাম দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। তাই দূরপাল্লার যাত্রী যারা আছেন তারা বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। দুপুর থেকে সম্পূর্ণ বাস বন্ধ। যেকোনো উপায়ে আমাকে বাড়ি যেতে হবে।
আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করে আবুতালেব যাচ্ছেন জামগড়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই দুইদিন বড় গাড়িগুলো তেমন চলছে না। কিন্তু আজ সকাল থেকেই ছোট গাড়িও দেখতে পারছিনা। কোনো গাড়ি না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই অটোরিকশায় যাচ্ছি।
ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহকারী দপ্তর সম্পাদক মিনহাজ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের শ্রমিক ও বাস চালকরা ইচ্ছা করেই বাস চালাচ্ছেন না। বর্তমানে সড়ক পরিবহনের যে আইন বাস্তবায়ন হয়েছে এ আইনে তারা গাড়ি চালাবেন না। তাই এই আইনটি কিছুটা সংশোধন হলে তারা আবার স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাবেন। তবে আমাদের শ্রমিকদের আমরা কিছু বলছি না যাদের ইচ্ছা গাড়ি চালাবে যাদের ইচ্ছা হবে না গাড়ি চালাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এনটি