ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শাবিপ্রবিতে হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধনে বাধা

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
শাবিপ্রবিতে হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধনে বাধা শাবিপ্রবিতে হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধন।

শাবিপ্রবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শীতকালীন ছুটিতে আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির বাধায় পরে শিক্ষার্থীরা আর সমাবেশ করতে পারেননি।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় শীতকালীন অবকাশ ও সমাবর্তনের সময়ে নিরাপত্তা বিবেচনায় নিয়ে হল খোলা রাখার দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রক্টরিয়াল বডির ‘অনুমতি না নেওয়ায়’ পরে আর তাদের দাঁড়াতে দেয়নি প্রশাসন।

মানববন্ধন চলার একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন প্রক্টরিয়াল বডি ও শিক্ষার্থীরা।

বাকবিতণ্ডায় শিক্ষার্থীরা বলেন, সমাবতর্নের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ একটি অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন কেন্দ্রিক হল একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয় না। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এক সময় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ও হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

কিন্তু আমাদের এখানে বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। দীর্ঘদিনের জন্য হল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় বাধা হিসেবে কাজ করবে।

এসময় অনুমতির বিষয়ে প্রক্টরকে শিক্ষার্থীরা বলেন, আর যে কোনো যৌক্তিক বিষয়ে কথা বলা কিংবা ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ করা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার সময় অনুমতি নিতে হয় না। সবাই সবসময় অনুমতি নিলে ৫২ কিংবা ৭১ কখনোই সৃষ্টি হতো না।

শিক্ষার্থীদের কথার প্রেক্ষিতে প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে যে কোনো অবস্থানমূলক কর্মসূচির জন্য প্রশাসনের অনুমতি আবশ্যক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন মানতে হবে। শিক্ষার্থীদের যে কোনো যৌক্তিক দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে দাবি নিয়ে আলোচনা না করে এখানে দাঁড়ানো কোনো সমাধান হতে পারে না।

পরে প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান। সেখানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয়। পরবর্তীতে মানববন্ধন ও সমাবেশে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং হল বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক দাবি করে গণমাধ্যমে প্রেসবিজ্ঞপ্তি পাঠান শিক্ষার্থীরা।

আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় তৃতীয় সমাবর্তনের নিরাপত্তার ইস্যু সামনে এনে গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক জরুরি সিন্ডিকেটে শীতকালিন ছুটি ডিসেম্বর (১৮-৩১) থেকে পিছিয়ে জানুয়ারিতে (৫-১৬) নেওয়া হয়। ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধের পাশাপাশি হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এইচএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।