বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার মাঠপর্যায়ে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, নিজেদের মাইন্ডসেট পরিবর্তন না করতে পারলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাস একই সূত্রে গাঁথা। মাদকব্যবসায়ীদের অনেকে গডফাদারও বলেন এদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে কমিশন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে যে তালিকা নিয়েছিল-সেই তালিকা অনুযায়ী কমিশন তাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
সম্প্রতি মাদকবিরোধী অভিযানে দেশে মাদকের ব্যাপকতা কিছুটা হলেও কমেছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখনও প্রায়শ সড়কে দেখা যায় পথশিশুরা পলিথিনে করে ড্যান্ডির মাধ্যমে সৃষ্ট ধোঁয়ায় নেশা নিচ্ছে। এদের চিহ্নিত করে সমাজকল্যাণে বিভাগের মাধ্যমে পুনর্বাসন অথবা সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ এই শিশুদের দেখে অন্য শিশুরাও মাদক বা নেশার প্রতি প্রলুব্ধ হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের সীমান্ত দিয়েই মাদকদ্রব্য দেশে আসছে। তাই সীমান্তে যারা এসব নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করেন, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সবাইকে মনে রাখতে হবে দেশের কোথায়-কীভাবে দায়িত্বপালন করেন এ তথ্য কমিশনের কাছে চলে আসে। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। দুর্নীতির মাধ্যমে যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন, তাদের তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। আপনারা জানেন কারা মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন। আপনারা প্রয়োজনে নিজেদের নাম গোপন রেখে মাদকব্যবসায়ীদের অবৈধ মাদক ব্যবসা ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য কমিশনে পাঠান। আপনাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। আমরা শুধু তথ্য চাই। তথ্য পেলেই অপরাধীদের আইন-আমলে নিয়ে আসা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সঞ্জীয় কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০,২০১৯
ডিএন/এএটি