ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম’ 

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম’  বিলাপ করছেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ী। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ‘আমার আর কিছুই রইলো না। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। ২৫-৩০ লাখ টাকার নতুন কম্বল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আমার কী হবে, কী করবো?’

সব হারিয়ে এভাবেই বিলাপ করছিলেন রাজধানীর টিকাটুলির নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মো. বাবুল।  

শুধু বাবুল-ই নয়, আগুনে দোকান ও মালপত্র পুড়ে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এই মার্কেটের দোকানিরা।

 

পড়ুন>>রাজধানী সুপার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

সহায়-সম্বল হারিয়ে ‘পোড়া মার্কেটে’র সামনে পাগলপ্রায় হয়ে ছুটোছুটি করছিলেন ব্যবসায়ী বাবুল। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর তিনি মার্কেটের সামনে বিলাপ করছিলেন।  

আগুন নিয়ন্ত্রণে এলে ধ্বংসস্তূপের ওপর দিয়েই মার্কেটের দোতলায় গেছেন তিনি, যদি অবশিষ্ট কিছু যায়। তবে সব কম্বলই পুড়ে গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের পর মার্কেটের সামনে জড়ো হন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।  ছবি: জিএম মুজিবুর/বাংলানিউজ সাংবাদিকদের বাবুল জানান, এই মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় তার তিনটি দোকান রয়েছে। নাম ফয়সাল বেডিং স্টোর। এসব দোকানে ছিল দেশি-বিদেশি কম্বল।  

তিনি বলেন, তার তিন দোকান মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের কম্বল ছিল। আগুনে সব কম্বলই পুড়ে গেছে।  

বাবুলের ভাষ্য, মার্কেটের দ্বিতীয় একটি টেইলার্সে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেখানে ছিল ফোম ও বিছানার চাদর। ওয়েল্ডিং করার সময় আগুন লেগে যায়। পরে তা মার্কেটের অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।  

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। তাদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।  

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর আবদুল খালেক জানান, বুধবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পান তারা। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হল তা এখনও স্পষ্ট নয়।  

তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণের পর এখন ডাম্পিং এর কার্যক্রম চলছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনো সঠিকভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না। ডাম্পিংয়ের কার্যক্রম শেষ হলে হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বোঝা যাবে।  

পড়ুন>>আগুন নিয়ন্ত্রণের পর চলছে ডাম্পিং

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-৩) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তার চারদিকে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে আগুনের ধোয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মী মো. মমিন (৩৫)। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।  

 বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২১০৯
এজেডএস/পিএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।