দরিদ্র জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারী ও শিশু উন্নয়নে তার কয়েক দশকব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ এ খেতাব দেওয়া হয়।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্যার ফজলে হাসান আবেদের গুলশান বাসভবনে দেশটির রাজা কিং উইলেম আলেকজান্ডার অব দ্য নেদারল্যান্ডস-এর পক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েইজ এ খেতাবের মর্যাদাসূচক পরিচয়চিহ্ন হস্তান্তর করেন।
এ উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফজলে হাসান আবেদের পরিবারের সদস্য ও নেদারল্যান্ড দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।
এসময় হ্যারি ভেরওয়েইজ বলেন, আমাদের রাজার পক্ষ থেকে আপনার কাছে এই খেতাবের পরিচয়চিহ্ন পৌঁছে দিতে পেরে আমি গৌরব বোধ করছি। আপনি জীবনজুড়ে মানুষের মর্যাদা, প্রতিকূলতা মোকাবিলার সামর্থ্য, নিষ্ঠা ও অন্তর্ভুক্তির মূল্যবোধের পক্ষে কাজ করেছেন। এই মূল্যবোধগুলোর ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাকের সফল বিকাশ ঘটেছে।
নেদারল্যান্ড ও ব্র্যাকের মধ্যে দীর্ঘকালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে হ্যারি ভেরওয়েইজ আরও বলেন, ব্র্যাকের সব কার্যক্রম ও ব্যবসা উদ্যোগ পরিচালনায় নারীর ক্ষমতায়ন একটি মূলনীতি হিসেবে কাজ করে আসছে, যা বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে প্রশংসিত। দারিদ্র্য বিমোচনে ব্র্যাকের কাজ নেদারল্যান্ডসহ সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ নেদারল্যান্ডের রাজার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সম্মাননা অসামান্য মর্যাদার বিষয়। নেদারল্যান্ড কয়েক দশক ধরে ব্র্যাকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সমর্থক। দশ বছর আগে সেখানে ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। এই রাজকীয় স্বীকৃতি সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বেরই সাক্ষ্য দেয়।
‘ব্র্যাকের আন্তর্জাতিক কার্যক্রম প্রসারিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা নেদারল্যান্ডের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারবো বলে আশা করি। আমাদের এই যৌথ প্রয়াস বিশ্বে দারিদ্র্য ও বঞ্চনার মধ্যে বসবাসকারী মানুষের অবস্থার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’
দারিদ্র্যবিমোচনে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফজলে হাসান আবেদকে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের রানি ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এএ