শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই নির্মাণ শ্রমিক ও বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কালিহাতা গ্রামের বানী ঈসরাইল জসিম নিজের বিরুদ্ধে একটি মামলায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও তুলেন পুলিশ দুইজনের ওপরে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বরিশাল নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডলি বেগমের ভাই রবিউল আলম জুয়েলের কাছে আমি কিছু টাকা পাই।
‘পরে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা। যদিও মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ডলি বেগম নিজেই সাজিয়ে করেছেন। ’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আগে দফায় দফায় আমাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেন এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল ও উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান। তাদের নির্যাতনের মাত্রা এতই ছিল যে, সহ্য করা আমার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। এসময় তারা ডলি বেগমের অভিযোগ স্বীকার করতে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাচ্ছিলেন। এরপর আমি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিই।
এদিকে, একটি মামলায় দুই ধরনের এজাহার করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন নির্মাণ শ্রমিক জসিম।
এ বিষয়ে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও এয়ারপোর্ট থানার এসআই সাইদুর রহমান বলেন, ডলি বেগম যে অভিযোগ নিয়ে এসেছেন, তা যাচাই-বাছাই করেই ধারা অনুযায়ী মামলাটি নেওয়া হয়েছিল। আর মামলা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। আমি তদন্ত করে যা পাব, তাই উপস্থাপন করব। আর জসিমকে থানায় আটকে যে নির্যাতনের কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ওসি তদন্ত আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, থানায় কাউকে নির্যাতনের বিষয়ে আমার জানা নেই।
এদিকে, এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ডলি বেগমের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএস/টিএ