শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে টিইউসি সভাপতি, শ্রমিকনেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে অবিলম্বে তাজরীন ট্রাজেডিসহ সব শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়।
নেতারা বলেন, ১৯৯০ সালে সারাকা গার্মেন্টসে আগুনে পুড়ে শ্রমিক নিহতের ঘটনা থেকে শুরু করে চলতি বছরে গাজীপুরের অটো স্পিনিং মিলে অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিক নিহত পর্যন্ত কোনও হত্যাকাণ্ডের বিচার আলোর মুখ দেখেনি। বিচারহীনতার এ সুযোগে একের পর এক শ্রমিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। মুনাফার লালসায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা কখনও আগুনে পুড়ে, কখনোবা ভবনচাপা পড়ে নির্মমভাবে নিহত হয়।
নেতারা আরও বলেন, তাজরীন ট্রাজেডির তিন বছর পর ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর এ বিষয়ক চার্জশিট গঠন করা হয়। গত চার বছরে ৩৫টি শুনানির তারিখ ধার্য হলেও রাষ্ট্রপক্ষ মাত্র ৬ দিন সাক্ষী হাজির করতে সক্ষম হয়। ফলে উল্লেখিত ১০৪ সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ কবে নাগাদ শেষ হবে তা আজ বড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা বিচারহীনতার আরেক নাম। যে কোনো মূল্যে সব শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আদায় করে নেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন নেতারা।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১৩ শ্রমিক-কর্মচারী নিহত হন। আহত হন প্রায় দুই শতাধিক।
তাজরীন ট্রাজেডির সপ্তম বার্ষিকীতে আগামীকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টায় জুরাইন কবরস্থান ও আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে কারখানা গেটে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরবর্তীতে এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে নিশ্চিন্তপুর এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
আরকেআর/এইচজে