শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাতে ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের বাইরে অনশনরত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান রাতে বাংলানিউজকে রিজভী হাওলাদারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
রিজভীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। ভবঘুরে এই খালেদা-পাগল থাকতেন বিএনপি কার্যালয়ে। বাড়িঘর আত্মীয়-স্বজন সব ফেলে সারাক্ষণ খালেদা জিয়ার জন্য কেঁদে সময় কাটাতেন।
পটুয়াখালীর বাউফলের ছোট্টকান্দা গ্রামে রিজভীর জন্ম। তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে বসবাস করতেন। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে নিয়মিত নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনি দলীয় কার্যালয়ে আসতেন শুধু দল ও জিয়া পরিবারকে ভালোবেসে।
ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকেই তিনি নিয়মিত নিজে না খেয়ে সেই টাকা দিয়ে ম্যাডামের জন্য খাবার নিয়ে ফল কিনে নিয়ে কারাগারের গেটে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কান্না করতেন। নিয়মিত না খেয়ে কাফনের কাপড় পরে নেত্রী বের না হলে জীবন দিয়ে দেবেন বলে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। রিজভী হাওলাদার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তার অবস্থা গুরুতর মনে হলে ডাক্তাররা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পথে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে তিনি পড়ে যান এবং শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী বলেন, সন্ধ্যা ৭টায় কার্যালয়ের গেটে তার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছে। তখন রিজভী আমাকে বলছিলেন, ম্যাডামের জন্য কোনো নেতা কিছু করেন না। আমার নেত্রীকে জেলে রেখে নেতারা মেরে ফেলবেন। এভাবে হয় না, সবাই মুখে মুখে বলে নেত্রীর জন্য, আসলে কাউকেই কিছু করতে দেখি না। সবাই নিজের কথা ভাবে।
রাত দেড়টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এমএইচ/এমএমইউ