রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীর উন্নয়ন ও মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) সম্মেলন কক্ষে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক মোবিলাইজেশন সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় নারী-শিশু নির্যাতন নিয়ে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।
সভায় জানানো হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও তাদের নিজস্ব জরিপের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। ১০৬টি নারী নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে ১০টি হত্যা, হত্যার চেষ্টা ২১টি, রহস্যজনক মৃত্যু তিনটি, আটটি ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা চারটি, আত্মহত্যা ২৪টি, আত্মহত্যার চেষ্টা ১১টি, অপরহরণ পাঁচটি, যৌন হয়রানি ১৫টি, নিখোঁজ একটি, একটি এসিড নিক্ষেপ এবং অন্যান্য ঘটনা ঘটে তিনটি। আর ৮৯টি শিশু নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে হত্যা সাতটি, হত্যার চেষ্টা তিনটি, ধর্ষণ ১৭টি, ধর্ষণের চেষ্টা ১২টি, অপহরণ ১৭টি, আত্মহত্যা আটটি, আত্মহত্যার চেষ্টা পাঁচটি, যৌন হয়রানি ১১টি, নিখোঁজ ছয়টি এবং তিনটি অন্য ঘটনা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসিডির নির্বাহী পরিচালক সালীমা সারোয়ার বলেন, বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নারী ও শিশু নির্যাতনের পৈশাচিকতা কমছে না। পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজ ব্যবস্থায় নারী ও শিশুর প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন। আর গণমাধ্যম কর্মীরাই তাদের লেখনীর মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন। বর্তমানে নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে তাই গণমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অত্যন্ত প্রয়োজন।
এসিডির মিডিয়ার ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুলের উপস্থাপনায় মোবিলাইজেশন সভায় ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ব্র্যাকের ডিভিশনার ম্যানেজার রায়হানুল ইসলাম।
পাওয়ার পয়েন্টে বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্র্যাকের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মেহেদী হাসান ও এসিডির মনিটরিং অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার রুহুল আমিন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এসিডির প্রজেক্ট কো-অডিনেটর মেরাজ উদ্দিন তালুকদার, ব্র্যাকের সেক্টর স্পেশালিস্ট কৌশিক বিশ্বাস সাগর ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/