রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ভাটারা এলাকার নীলাচল পার্টি সেন্টারে সারাদেশে কর্মরত নরসুন্দরদের নিয়ে মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের (বসুন্ধরা টিস্যু) সহায়তায় নরসুন্দর কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি, ভাটারা ও গুলশান নরসুন্দর শ্রমজীবী সমবায় সমিতি এ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জগদীশ চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শীল, কোষাধ্যক্ষ লিটন শীল, আইন বিষয়ক সম্পাদক অমল চন্দ্র শীলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা।
সভায় বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন টিস্যু ইউনিটের কাজী ইমদাদুল হক, খাতা ইউনিটের রাজু আহমেদ ও মার্কেটিংয়ের ডেপুটি ম্যানেজার শাহরীয়ার আলম।
সভায় জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও আজকের অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আগত নরসুন্দরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজকের সভায় যেসব দাবি তোলা হয়েছে তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। আপনারা শুধু আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
তিনি বলেন, আমরা সমাজের সব পুরুষের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করলেও একতার অভাবে আমরা অবহেলিত। আসুন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এ পেশায় নিয়োজিত সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। তাহলে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো।
সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার শীল বলেন, আগে নিজেদের মানষিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আজকের আলোচনা সভার দিনক্ষণ আগেই ঠিক করা ছিল, তারপরও অনেকেই দোকান খোলা রেখেছেন। অনুষ্ঠানে আসেনি। এভাবে চলতে পারে না। সপ্তাহে একদিন ছুটি কাটাতে হবে। না কাটালে শরীর-মন কোনোটাই সুস্থ থাকবে না। সাপ্তাহিক ছুটির দিন প্রত্যেক থানার নেতাদের সঙ্গে বসে ঠিক করা হবে।
এছাড়াও কাজ করতে গিয়ে নানারকম বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব মোকাবিলা করার জন্য সমিতিকে আরও সক্রিয় হওয়া, প্রতিবছর যে হারে দ্রব্যমূল্য ও বাসা ভাড়া বাড়ছে সে হারে কাজের মূল্যহার বাড়ানো, সরকারের স্বীকৃতি ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে সমিতিকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করার আহবান জানান বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
এসই/আরআইএস/