তিনি বলেন, জেল যা আছে সেটা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু চালকরা যদি দীর্ঘদিন জামিন না পান তবে চালকের ঘাটতি পড়ে যাবে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খানসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক দুর্ঘটনার পর চালকের অপরাধ জামিনযোগ্য হিসেবে গণ্য করার দাবি জানিয়েছে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছি, একজন চালক যদি দুর্ঘটনা ঘটান, তিনি যদি দীর্ঘদিন জামিন না পান তবে চালকের ঘাটতি পড়ে যাবে।
‘বছরে সারাদেশে ৩/৪ হাজার দুর্ঘটনা হয়, তাহলে ৩/৪ হাজার চালকের ঘাটতি পড়ে যাচ্ছে। আমরা এখনও কিন্তু ৩/৪ হাজার চালক প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে পারছি না, আমাদের সেই ক্যাপাসিটি নেই। এই ঘাটতি পূরণে সড়ক দুর্ঘটনায় গাড়িচালকদের বিচারে শাস্তি যা হওয়ার হবে কিন্তু আইনে জামিনের ব্যবস্থা রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
শাজাহান খান বলেন, একজন চালক কত টাকা আয় করে। সে তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার পরিচালনা করে। একজন চালক মাসে ১৫ দিনের বেশি গাড়ি চালাতে পারে না। ১৫ দিনের আয় দিয়ে তাকে এক মাস সংসার পরিচালনা করতে হয়। দাবিটা ছিল এই কারণে যে, আপনারা কিন্তু পত্রপত্রিকায় লেখেন এখনও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বাস্তবতাটা আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন কিনা আমি জানি না।
‘বাস্তবতাটা হলো এই, লাইসেন্সের কথা মন্ত্রী বলছেন অনেক ঘাটতি আছে, লাইসেন্স দিতে পারছে না বিআরটিএ। ভুয়া ও ফেক লাইসেন্স নিয়ে যদি কেউ গাড়ি চালায় তার তো জরিমানা হবে, জেল হবে। সে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালাতে পারছে না। অনেক গাড়ির ফিটনেস না থাকার কারণে সেই গাড়িগুলো চালাতে পারছে না ওই আইনের কারণে। সেজন্য রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। এই বাস্তবতাটা আপনারা লেখেন না, লেখেন স্বাভাবিক হয়নি। আমি মনে করি সবই স্বাভাবিক চলছে। ’
রাস্তায় আবার কোনো অচলাবস্থা হবে কিনা- জবাবে বলেন, আমরা কেউ ধর্মঘট ডাকিনি। যেটা মন্ত্রী মহোদয়ও প্রমাণ পেয়েছেন। আপনারা যেটা বলেছেন ফাঁসি হবে, এই হবে, সেই হবে- এ সব অপপ্রচারের কারণে শ্রমিকরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে এই অচলাবস্থা করেছে।
শাজাহান খান আরও বলেন, আরেকটি জিনিস ক্লিয়ার করতে চাই- আইনটি বাস্তবায়নের আগে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে দিয়েছিলেন। আমি, আইনমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী মহোদয় আমরা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটা সুপারিশ দিয়েছি। সেই সুপারিশ সড়ক পরিবহনমন্ত্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তী অ্যাকশনে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
জিসিজি/এএ