রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার পুকুরিয়া-কোদালিয়া ও বাকুলিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মওদুদ আহমেদ। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, চরাঞ্চলের ঝড়ে পড়া শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘রক্স’ প্রকল্পের আওতায় চৌহালী উপজেলায় ৭৪টি আনন্দ স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব স্কুলে উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা রয়েছে। চলতি পিইসিই পরীক্ষায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেছে।
রোববার মাধ্যমিকের ৭ম/৮ম শ্রেণির ছাত্র দিয়ে পিইসিই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছে-এমন তথ্যের ভিত্তিতে পুকুরিয়া কোদালিয়া ও বাকুলিয়া কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। এ সময় খবরের সত্যতা পাওয়ায় আনন্দ স্কুলের ১৩ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা শিশু হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আনন্দ স্কুলের সঙ্গে জড়িত দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চৌহালী আনন্দ স্কুলের ট্রেনিং কো-অডিনেটর শাহজাহান আলী বলেন, ইউএনও কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আসছেন এমন খবর পেয়ে আনন্দ স্কুলের এসব শিক্ষার্থীরা খাতা রেখে চলে গেছে। তারা প্রক্সি পরীক্ষার্থী ছিল কিনা সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯
আরএ