রোববার (২৪ নভেম্বর) তাকে আটকের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন এটিইউ'র পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহিদুজ্জামান। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি প্রচারণামূলক বই ও একটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।
এসপি মাহিদুজ্জামান জানান, আটক শাহীন ফেসবুক আইডি ও অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গি মতবাদ প্রচারের সঙ্গে নিজের ও সহযোগীদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।
কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করাই নব্য জেএমবির মূল লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের মতবাদ প্রচার ও প্রসারে সচেষ্ট ছিল।
এ কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন ধরনের বই, লিফলেট ও প্রচারপত্র তৈরি করতো এবং সেগুলো অনলাইনে বিতরণ করে আসছিলেন। এসব প্রক্রিয়াতে তারা সংগঠনের নতুন সদস্য হিসেবে যুবকদের নিযুক্ত করতেন।
মো. মাহিদুজ্জামান বলেন, সংগঠনটি রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, হত্যা, জনমনে ত্রাস, ভীতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহের চেষ্টা করে আসছে। সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য তারা বিভিন্ন প্রটেক্টেড অ্যাপস ব্যবহার করেন।
আটক শাহীনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গুলশানা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
পিএম/এসএইচ