ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় জাদুঘরে ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
জাতীয় জাদুঘরে ক্যালিওগ্রাফি প্রদর্শনী

ঢাকা: কোনোটায় চাইনিজ স্টাইলে 'বিসমিল্লাহ' লেখা, কোনোটায় আবার সতেজ গাছকে কেন্দ্র করে লেখা 'সূরা হা-মীম'। রং-তুলিকে কেন্দ্র করে আছে 'সূরা ইখলাস'। বাহারি রঙের আরবি হরফের সেসব ক্যালিগ্রাফি মন কেড়ে নেই মুহূর্তেই।

ক্যালিগ্রাফী মানেই সুন্দর করে লেখার বিদ্যা। শব্দকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা।

উপলব্ধির ভিন্নতা থেকে প্রায় প্রতিটি সভ্যতা জন্ম দিয়েছে সম্পূর্ণ আলাদা শিল্প- ক্যালিগ্রাফি।

তেমনি এক ক্যালিগ্রাফীর চিত্রকর্ম নিয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো ক্যালিগ্রাফী প্রদর্শনী। জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনের করিডোরে 'ভ্রমণ' ম্যাগাজিনের আয়োজনে মালয়েশিয়ার শিল্পী আব্দুল গফুর হাজী তাহিরের ৭০টি ক্যালিগ্রাফী নিয়ে এ প্রদর্শনী।

সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রামচন্দ্র দাশ, বাংলাদেশে নিযুক্ত মালোয়েশিয়ার অ্যাক্টিং হাইকমিশনার আমির ফরিদ আবু হাসান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ান হাইকমিশনের রাশিয়ান সেন্টার ফর সাইন্স অ্যান্ড কালচারের পরিচালক ম্যাক্সিম দোব্রখোতভ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভ্রমণ ম্যাগাজিনের উপদেষ্টা এবং গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও নওয়াজিশ আলী খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাদের এক দেশের শিল্প-সংস্কৃতি অন্য দেশের শিল্প-সংস্কৃতির সাথে বিনিময় হয়। আমাদের দেশের শিল্প-সংস্কৃতিও এখন অনেক সমৃদ্ধ। সেগুলোরও বাইরের দেশে প্রদর্শনী হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শিল্প হিসেবে ক্যালিগ্রাফি একটি মর্যাদার আসন ইতোমধ্যে অর্জন করেছে। চারুশিল্পী থেকে শুরু করে সৌখিন শিল্পী ও ক্যালিগ্রাফি পছন্দ করেন, অনেকেরই এর প্রতি বিশেষ আগ্রহ ও আকর্ষণ রয়েছে। শিল্পীর এ প্রদর্শনী অত্যন্ত চমৎকার এবং এই আয়োজন উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ করে তুলবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পী আব্দুল গফুর হাজী তাহির। তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও নিজের ভালোলাগা থেকেই ক্যালিগ্রাফি করা। এই প্রদর্শনীতে ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে করা শিল্পকর্মগুলোই স্থান পেয়েছে। মালয়েশিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশেও এখন ক্যালিগ্রাফি দারুন জনপ্রিয়।

আলোচনা এবং উদ্বোধনী সভা শেষে অতিথিদের শিল্পকর্মগুলো ঘুরিয়ে দেখান শিল্পী। এসময় প্রধান অতিথির হাতে তার নাম লেখা একটি ক্যালিওগ্রাফি উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।