সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
তোহা মনির বাবা মো. ফেরদৌস গাজী জানান, তারা কদমতলীর মাদ্রাসা রোড এলাকায় একটি ৩ তলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন। তোহা মনি ছিল তাদের একমাত্র কন্যাসন্তান। গত ২১ নভেম্বর তাদের বাসার লাইনে গ্যাস ছিল না। সে সময় রান্নার জন্য লাকড়ির চুলার ব্যবস্থা করা হয়। তোহা মনি মায়ের কোলেই ছিল। ওই অবস্থায় তারপিন দিয়ে লাকড়ির চুলায় আগুন জ্বালাতে গিয়ে আগুনের ফুলকি ছিটকে তোহা মনিসহ তার মা ঝুমি আকতার (৩৫) দগ্ধ হয়। ঘটনার সময় তাদের পাশে থাকা তোহামনির ফুফু শাহিনুর (৩০) ও মামাতো বোন কাজলীও (১৫) দগ্ধ হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও ৩০ শতাংশ দগ্ধ তোহামনিকে হাসপাতালে রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়।
ফেরদৌস গাজী জানান, ওই ঘটনায় ঝুমির পায়ের অনেক অংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া শাহীনুরের দুই হাত ও কাজলীর ডান হাত দগ্ধ হয়। দুইদিন পরপর ঢামেকে গিয়ে তাদের ড্রেসিং করাতে হয়। আজকে ডেসিং করাতে গিয়েই তারা তোহা মনির মৃত্যুর সংবাদ পায়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া তোহা মনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কদমতলী থানা পুলিশ হাসপাতালে এসেছে। তারাই এখন শিশুটির ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এজেডএস/এইচজে