ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘জেএমবি’র অর্থ জোগাতে ডাকাতিও করতেন গ্রেফতার জঙ্গিরা’  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
‘জেএমবি’র অর্থ জোগাতে ডাকাতিও করতেন গ্রেফতার জঙ্গিরা’  

ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি)। গ্রেফতারদের মধ্যে কেউ কেউ জেএমবির অর্থ জোগাতে ডাকাতি করতেন  বলেও দাবি করেছে সিটিটিসি। 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদী, মো. হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া ও  মো. রাজিবুর রহমান ওরফে রাজিব ওরফে সাগর।

মনিরুল ইসলাম জানান, রোববার (২৪  নভেম্বর) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানার সাইদ নগর এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৫০টি ডিটোনেটর, জিহাদি বই, একটি কমান্ডো ছুরি ও ২০ পিস জেলজাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।  

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ২০১০ সালে আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আ. হাদী টঙ্গীতে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় লেখাপড়া করা অবস্থায় জেএমবিতে যোগ দেন। সংগঠনের প্রতি একাত্মতা ও বিশ্বস্ততার কারণে ২০১২ সালে সংগঠনের সিদ্ধান্তে তিনি লেখাপড়ার জন্য কক্সবাজার যান। সেখানে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার দায়ী (দাওয়াতী) শাখার প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  

‘সেই সময় জঙ্গি তালহা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আবু রায়হানকে এক ব্যাগ কমান্ডো ছুরি দেন। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সংগঠনের সিদ্ধান্তে আবু রায়হান আরেক জঙ্গি খোকনের চাচাতো শ্যালিকাকে বিয়ে করেন। এদিকে পরবর্তীতে আবু রায়হান কমান্ডো ছুরির ওই ব্যাগটি কক্সবাজারের জঙ্গি নুরুল হাকিম ওরফে আ. হাকিমকে দেন। ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নুরুল হাকিম সংগঠনের আরও সদস্যসহ শাজাহানপুর থানা এলাকায় আবু রায়হানের কাছ থেকে পাওয়া ৩০টি কমান্ডো ছুরি ও বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার হন। ’

সিটিটিসির এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার মো. হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া জেএমবি’র ইসাবা গ্রুপের প্রধান হিসেবে সংগঠন পরিচালনার অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করেন। এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ দক্ষিণখান থানার পীর সাহেবের বাড়িতে ডাকাতির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার হন। পরে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পুনরায় তিনি জঙ্গী কার্যক্রম শুরু করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ২৫ নভেম্বর , ২০১৯
এমএমআই/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।