রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের একটি বাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন সুবর্ণা নামে এক স্কুল শিক্ষক।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘটনাটি ভাইরাল হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নারী ছিলেন সন্তান সম্ভবা। রোববার রাতে তিনি ডাক্তার দেখিয়ে ভোলা থেকে বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মানিকারহাট সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ তার প্রসব ব্যথা শুরু হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেখে ফেলেন স্কুল শিক্ষিকা সুবর্ণা সমাদ্দার। তিনি ওই নারীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান। এক পর্যায়ে বাসেই স্বাভাবিক ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন লুবনা।
পরে দ্রুত লুবনাকে সেই বাসেই বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে মা এবং সন্তান উভয়ে শংঙ্কামুক্ত। রাতেই তারা বাড়ি ফিরে গেছেন।
ডিটিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুবর্ণা সমাদ্দার জানান, এমন একটি কাজ আমি করতে পেরেছি, যা নিয়ে আমি নিজেই হতবাক। কীভাবে এমন সাহস পেলাম আমি জানিনা। যদিও এ ব্যাপারে বাসের সবার সহযোগিতা ছিল। ডেলিভারির সময় যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। কারণ, তখন মাকে কোথাও নেওয়ার সুযোগ ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি সুন্দরভাবে সফল হয়েছে।
নবজাতকের মা লুবনা বেগম বলেন, এমন হবে আমরা ভাবতে পারিনি। অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটলো, এসময় যে কোনো বিপদই ঘটতে পারতো। আমি অনেক খুশি। আমি ভালো আছি। বাচ্চাও ভালো আছে।
এদিকে চলন্ত বাসে সন্তান জন্ম দেওয়ার এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র রুবেল হোসেনের বাড়িতে ভিড় জমে। স্ত্রী লুবনা বেগম ও নবজাতককে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন এলাকার উৎসুক মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
আরএ