ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সায়

ঢাকা: গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রস্তাবে মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী অনুস্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৫ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 
 
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দাকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জলবায়ুবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি প্রসার ঘটবে। ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস পাবে, যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
 
তিনি জানান, ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশ মন্ট্রিল প্রটোকলে অনুস্বাক্ষর করায় এটি ইউনিভার্সেল রেটিফায়েড প্রটোকলের মর্যাদা লাভ করেছে। ২০১৬ সালে রুয়ান্ডার কিগলিতে মন্ট্রিল প্রটোকলের ২৮তম সভায় শক্তিশালী গ্রিন হাউস গ্যাস-এইচএফসির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মন্ট্রিল প্রটোকল সংশোধিত হয়। সংশোধনটি বাস্তবায়িত হলে এ শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রায় ০.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড কমানো সম্ভব হবে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ২০১৫ সালে গৃহীত প্যারিস চুক্তির প্রায় ২৫ শতাংশ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
 
কিগালি সংশোধনীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- শক্তিশালী গ্রিন হাউস গ্যাস যেমন এইচএসসি এর ব্যবহার হ্রাস করা; এইচএফসিগুলোর বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ক্ষমতার মানমাত্রা প্রটোকলে যুক্ত করা হয়েছে; এইচএফসির ব্যবহার, আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন ইত্যাদির মান কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মানে নির্ধারিত হবে; ভিত্তিস্তর কোনো নির্দিষ্ট কয়েক বছরের এইচএফসি ও এইচসিএফসি উভয় ধরনের এবং দ্রব্য ব্যবহারের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
 
কিগালি সংশোধনী অনুযায়ী উন্নত রাষ্ট্রসমূহ ২০১৯ সাল থেকে এইচএফসির দুই রকম ফেজ ডাউন শিডিউল অনুসরণ করবে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো ২০২৯ সাল থেকে দুই রকম ফেজ ডাউন শিডিউল অনুসরণ করবে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশ যারা কিগালি সংশোধনীর আর্টিকেল-৫ এর গ্রুপ-১ সমর্থন করেছে তাদের জন্য ২০২৯ সালের ১ জানুয়ারি অর্থাৎ, উন্নত দেশগুলোর ঠিক ১০ বছর পর বাধ্যবাধকতা শুরু হবে।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কিগালি সংশোধনী গত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। আর গত ২২ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বের ৮১টি দেশ সংশোধনীটি অনুস্বাক্ষর করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ অনুস্বাক্ষর করেছে। অন্য দেশ অনুস্বাক্ষর প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
 
মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনী বাংলাদেশ অনুস্বাক্ষরের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ/বাণিজ্য মন্ত্রণালয়/কৃষি মন্ত্রণালয়/সুরক্ষা সেবা বিভাগ/শিল্প মন্ত্রণালয়/মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়/পরিবেশ অধিদপ্তর/ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে স্বপক্ষে মতামত পাওয়া যায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তর আলাদা আলাদাভাবে অংশীজনদের সঙ্গে সভা করে অনুস্বাক্ষরের পক্ষে তাদের মতামত দিয়েছে।
 
কিগালি সংশোধনী অনুস্বাক্ষরের বিষয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।