ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশ হবে নীরব জোন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশ হবে নীরব জোন

ঢাকা: চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশকে শব্দ দূষণমুক্ত বা নীরব জোন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। 

তিনি বলেছেন, সারাদেশে বেআইনি ইটভাটা বন্ধ করা, ভবন নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা, মেট্রোরেলসহ বড় প্রকল্প এলাকায় বায়ু দূষণ রোধে নিয়মিত পানি ছিটানোসহ ২০২৪ সালের পর পোড়া ইট ব্যবহার করা হবে না। সে সময় থেকে ব্লক ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আর ১৭ ডিসেম্বর থেকে সচিবালয়ের চারপাশকে নীরব জোন ঘোষণা করা হবে।  

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার বায়ু ও শব্দদূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে  আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, কদম ফোয়ারা, শিক্ষাভবন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকাকে নীরব জোন বা শব্দবিহীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ এলাকায় কোনো পরিবহনকে কোনো প্রকার হর্ন বাজাতে বা শব্দ সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা শহরে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের পাইলট কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।

‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে হাইড্রোলিক হর্ন পুরোপুরি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শহরে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রয়োজনীয় শব্দের উৎসের সন্ধান করে তা বন্ধ করা হবে। ’

বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, ইটভাটায় যাতে পরিবেশ দূষণকারী পদার্থের নির্গমন বন্ধ হয় তা নিশ্চিত করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে প্রতিদিন সকাল ও দুপুর দুইবার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় উপর থেকে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। র্যাপিড বাস ট্রান্সপোর্ট বা বিআরটি এবং মেট্রোরেল প্রকল্পকেও নিজস্ব উদ্যোগে পানি ছিটানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ইট, বালু, মাটিসহ নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনকারী ট্রাক বা গাড়িসমূহকে অবশ্যই ঢেকে মালামাল পরিবহন করে তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনকে পরিত্যক্ত বর্জ্য না পোড়ানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর বায়ু ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করবে; যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থা বাস্তবায়ন করবে। এলক্ষ্যে পুনরায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করা হবে।  

সবার সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই ঢাকা শহরকে বায়ু ও শব্দ দূষণ মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।  

সভার শুরুতে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর আশেপাশের ইটভাটা, যাচ্ছেতাই নির্মাণ কাজ ও মোটরযানের ধোঁয়া- তিন কারণে ঢাকা সিটির বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। গত আটবছর ধরে এই তিন উৎস ক্রমেই বাড়ছে।  

‘ফলে বায়ুদূষণ মোকাবেলায় দূষণের উৎস বন্ধ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ঢাকার চারপাশের জলাশয়গুলাকে রক্ষা করতে হবে। ’

একই সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অবকাঠমো ও বিভিন্ন কাজে সমন্বয় করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
জিসিজি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।