সেই শহীদদের স্মরণে কামান্না গ্রামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন রয়েছে। শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা জানানো হবে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে।
সেই হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফেরেন ৪২ জন মুক্তিযোদ্ধা। নভেম্বরের শেষ দিকে কামান্না গ্রামের মাধব ভুঁইয়ার বাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্প গড়ে তোলেন তারা। কিন্তু গ্রামের এক রাজাকারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবর পৌঁছে যায় ঝিনাইদহ, শৈলকুপা ও মাগুরার পাকিস্তানি সেনা ছাউনিতে। ২৫ নভেম্বর রাতে খাবার খেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা সেই ক্যাম্পে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরের আযানের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারের দল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের চারপাশ ঘিরে ফেলে। বৃষ্টির মত গুলি চালাতে থাকে তারা। এতে একে একে শহীদ হন ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। ঘরের ভেতর, উঠানে ও নদীর ধারে মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে।
পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারের দল মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে ফিরে যায় তাদের ছাউনিতে। সকালে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মরদেহ এক জায়গায় করে। তারপর কুমার নদীর তীরে পাঁচটি গণকবরে তাদের দাফন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এইচএ/