স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ২ হাজার ৫৫০ মিটার। ১৬ তম স্প্যান বসানোর মাত্র ৭ দিনের মাথায় বসতে চলেছে এ স্প্যানটি।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় শরিয়তপুর জেলার জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের কাছে পদ্মার চর থেকে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে তোলা হয় স্প্যানটিকে। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারের নির্ধারিত স্থানে।
প্রকৌশলীরা জানান, ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে বহন করছে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন। বিগত স্প্যান বসানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে এ স্প্যানটিও বসানো হচ্ছে। দুই পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে নিয়ে গিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে পজিশন করে এরপর নোঙর করা হবে। ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে তোলা হবে পিলারের উচ্চতায়। সেতুর ২৩ ও ২৪ নম্বর পিলারের ‘৪-ই’ স্প্যানের সঙ্গে বসিয়ে দেওয়া হবে। সকাল থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্প্যান বসাতে কোনো সমস্যা দেখা দেবে না বলে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
জানা যায়, চীন থেকে আরও দুইটি স্প্যানের সরঞ্জামাদি বাংলাদেশে এসেছে। এ দুইটি নিয়ে দেশে মোট ৩৩টি স্প্যান আছে। এর মধ্যে ১৬টি বসানো হয়েছে। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ৩৩টির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
আরএ