প্রথমে এক নার্সকে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক থাপ্পড় মারলে নার্সরা আন্দোলনে নেমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের ভিত্তিতে পরিস্থিতি নীরব হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পুনরায় উদ্ধত আচরণে আবার ফুসে ওঠেন নার্সরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রমেক হাসপাতালে থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেও ঘটনার সূত্রপাত সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে। এতে চিকিৎসা কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটে কর্তব্যরত নার্সিং অফিসার রোগীকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। তিনি ইনজেকশনের অ্যাম্পুল ভাঙার সময় এক ফোঁটা ডিস্টিল ওয়াটার একজন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের গায়ে গিয়ে পড়ে। এতে দু’জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মিলে কর্তব্যরত ওই নার্সিং কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন।
পরে মঙ্গলবার সকালে নার্সরা হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে এর বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। তখন ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক ও সেবা তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয়। একইসঙ্গে দুয়েকদিনের মধ্যে উভয়পক্ষ মিলে বসে সমাধান করা হবে এই আশ্বাস দেওয়া হয়।
এদিকে, সোমবার রাতে আহত নার্স ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার এই নার্সের কিছু সহকর্মী তাকে দেখতে গেলে আবারও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা নার্সদের ওপর চড়াও হন। পরে দু’পক্ষের মধ্যে আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যা চলমান।
তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএএম/টিএ