মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে হুসনা আক্তারকে উদ্ধারের পর সেফহোমে রাখা হয়েছে।
জেদ্দা কনস্যুলেট হুসনা আক্তারকে উদ্ধারের জন্য নাজরান পুলিশকে অবহিত করে। হুসনা আক্তার সৌদি রিক্রুটিং অফিস রুয়াদ নাজরানের (লাইসেন্স নম্বর- ৩৯১৮৬১৮) মাধ্যমে প্রায় তিন মাস আগে সৌদি আরব যান। হুসনা আক্তারের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম মুজিবুর রহমান।
সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের হস্তক্ষেপে হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
জেদ্দা থেকে প্রায় একহাজার কিলোমিটার দূরে নাজরান পুলিশ হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দ্রুত হস্তক্ষেপে হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়।
নির্যাতনের শিকার হুসনা আক্তার রোববার (২৪ নভেম্বর) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিওবার্তা পাঠান। তার পাঠানো ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওবার্তায় হুসনা আক্তার বলেন, ‘আমি আর পারতাছি না। তোমরা যেভাবে পারো আমারে বাঁচাও। এরা আমারে বাংলাদেশ পাঠাইতে চায় না। এরা আমারে ইতা করতাছে। অনেক অত্যাচার করতাছে। আমারে ভালা কামের কথা কইয়া পাঠাইছে দালালে। আমারে ইতা করতাছে ওরা। আমি আর পারতাছি না সহ্য করতাম। তোমরা যেভাবে পারো আমারে নেও। ’
এ পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আগে সৌদিতে নির্যাতনের শিকার সুমি আক্তারকেও একইভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
টিআর/এএ