গত তিন দিন ধরে থেকে এনায়েতপুরের খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মনগ্রাম, আড়কান্দি ও জালালপুরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ১২টি বসত-ভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে খুকনী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বর) সোহরাব আলী বলেন, রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে হঠাৎ করেই যমুনার পশ্চিম তীরে ভাঙন শুরু হয়। শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় ভয়াবহ গর্জন ও ভাঙন দেখে এলাকায় আতংক শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মনগ্রামে ডাম্পিং করা জিও ব্যাগের দু’টি স্থানে প্রায় ২’শ মিটার এলাকা ধসে গেছে। মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে আড়কান্দি এলাকার নজরুল ও হোসেন আলীর বাড়িসহ ১০/১২টি বসতভিটা।
খুকনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মুল্লুক চাঁন বলেন, হঠাৎ অসময়ে নদী ভাঙন শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী আতংকের মধ্যে রয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউড, দেশের সর্ববৃহৎ এনায়েতপুর তাঁত কাপড়ের হাট, সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, তাঁতকারখানাসহ বহু ঘরবাড়ি।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক রফিক মোল্লা জানান, যমুনায় নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় পশ্চিম তীরে তীব্র স্রোতে আছড়ে পড়ার ফলে এই নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা।
তবে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মনগ্রাম ও আড়কান্দি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে যমুনার পশ্চিম তীরের অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএইচ