ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হলি আর্টিজান মামলা

আদালত চত্বরে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
আদালত চত্বরে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা

ঢাকা: বহুল আলোচিত রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বুধবার (২৭ নভেম্বর)। এজন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের  লালবাগ ডিভিশনের (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ডিএমপি পুলিশ কর্মকর্তারা আদালত প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।  

তিনি আরও জানান, হলি আর্টিজান মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে মধ্য রাত থেকে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন শুরু হবে।

সেটার সংখ্যা সকালের দিকে আরও বেড়ে যাবে।  

মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, আদালত প্রাঙ্গণে সবাইকে তল্লাশি করে আদালতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। এছাড়া মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সবাইকে চেক করা হবে। আদালত সংলগ্ন রাস্তায় যানবাহন শিথিলে এমন কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।

গত ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেন। এ পর্যন্ত মোট ১১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে ৮ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়। একই বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের জিআর শাখায় মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ আসামির মধ্যে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত ১৩ জনের মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হন।

অভিযোগপত্রের আট আসামি হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। তারা সবাই কারাগারে।

ঘটনাস্থলে নিহত পাঁচ আসামি হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

আর বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত আট আসামি হলেন- তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এসময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন।  

পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এজেডএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।