বুধবার (২৭ নভেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ মহা-পরিদর্শকের কার্যালয় চট্টগ্রাম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, শিপ ব্রেকিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ খাত।
তিনি বলেন, শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং শ্রমিকদের সচেতন করছেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরির্শক শিবনাথ রায় জানান, প্রতিটি দুর্ঘটনার পর মৃত শ্রমিকের পক্ষে শ্রম আদালতে মামলা করে শ্রম আইন ২০১৮ (সংশোধিত) অনুযায়ী দুই লাখ টাকা এবং আঞ্চলিক ক্রাইসিস কমিটির সঙ্গে মালিক পক্ষের আলোচনায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক চার লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা মালিকরা দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আল-আমিনের নেতৃত্বে শ্রম পরিদর্শকরা নিয়মিত মনিটরিং করে থাকেন।
এ বছর শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ড, লোহার প্লেট, লোহার পর্দা পড়ে, পিছলে পড়ে এবং বিষাক্ত গ্যাসে এ সব শ্রমিক মারা গেছেন। গত ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ বছর ফেব্রুয়ারিতে দুইজন, মে মাসে তিনজন, জুলাইতে পাঁচজন, আগস্টে দুইজন, সেপ্টেম্বরে তিনজন, অক্টোবরে তিনজন এবং নভেম্বরে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শিপ ব্রেকিং দুর্ঘটনায় ২০১৮ সালে ১৭ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সব দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের মৃত্যুতে মালিকদের কাছ থেকে ৫ লাখ করে মোট ৮৫ লাখ টাকা সহায়তা আদায় করে দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৭ সালে এ খাতে দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জন শ্রমিকদের পরিবারকে ৮০ লাখ ২৫ হাজার টাকা সহায়তা আদায় করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/