বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ইউএই’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান আ হ ম মুস্তফা কামাল। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স অব ইউএই অ্যাম্বাসি আব্দুল্লাহ আলির নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, ড্রাইভিং ফোর্স। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার কথা বর্তমানে সে পরিমাণ পাচ্ছি না। এর কারণটা হলো, সেখান থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর কোনো সহজ রাস্তা নেই। সে জন্য প্রবাসীরা ভিন্ন পথে রেমিট্যান্স পাঠান। এটিকে বৈধ পথে আনার জন্যই ইউএই’র ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
‘আমাদের প্রবৃদ্ধি এখন ২২ শতাংশ হয়ে গেছে। আমরা মনে করছি রেমিট্যান্সে এ বছর মিনিমাম ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। এটা সম্ভব হচ্ছে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার কারণে। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আর এ কে অনেক বড় ব্যাংক। গ্রাম-গঞ্জেও তাদের ব্রাঞ্চ আছে। আমাদের এখানে জনতা ব্যাংকেরও অনেক ব্রাঞ্চ আছে। তবে তাদের ব্যাংকের মতো এতোগুলো নেই। ফলে জনতা ব্যাংক একা সবাইকে সেবা দিতে পারে না। এজন্য দুই দেশের ব্যাংক মিলে একটি বিজনেস মডেল তৈরি করে কাজ করবে। এতে আমাদের রেমিট্যান্স আরও বেড়ে যাবে। সে জন্যই আজ আমরা বসেছি। ’
মুস্তফা কামাল বলেন, প্রবাসীরা জানেন না ভিন্ন পথে রেমিট্যান্স পাঠালে ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী হতে পারে। এ জন্য আমরা বিষয়টিকে আইনের আওতায় এনে বৈধ ও সহজ করে দিয়েছি। আইনে বলা হয়েছে, তারা যদি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠায় তাহলে প্রতি লেনদেনে ২ শতাংশ প্রণোদনা পাবেন। অবশ্যই তা দেড় হাজার ডলারের মধ্যে হতে হবে। এই পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠালে তাকে কোনো প্রশ্ন করা হবে না। ফলে টাকাটা সাদা হয়ে যাচ্ছে। তাদের পরিবারসহ পরবর্তী প্রজন্ম এটা বৈধভাবে ভোগ করতে পারবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রবাসী কর্মীরা এখন যেভাবে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে, কোনো সময় তারা বাড়িঘর, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে বা ওই টাকা অন্য কোনো কাজে লাগালে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। তখর তাদের কাছে রাজস্ব দাবি করা হবে। আমার মনে হয় সেটা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্যই এ কাজটি করা হয়েছে। এতে একটা কাজ হচ্ছে, তারা যে টাকাটা পাঠাচ্ছে এতে তাদের যে খরচ হতো তা কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি ২ শতাংশ প্রণোদনাও পাচ্ছে। সে কারণেই রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি, যা গত চারমাস থেকে বেশি হয়েছে। এ মাসে আরও অনেক বেশি হবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
জিসিজি/এইচজে