বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের আব্দার হোসেন (৪০), ইউনুস আলী (৫০), মুনিয়ার মন্ডল (৪৫), কবির আলী (৩৫) ও একই গ্রামের সলক আলী (৪৮)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল রাতে কায়েতপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মাছ চাষি জিয়াউর রহমান জিয়াকে মাথায় ও বুকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আশাদুল মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকালে পুলিশ জিয়াউর রহমান হত্যার মোটিভ উম্মোচন করতে সক্ষম হন। একই সঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কায়েতপাড়া গ্রামের আব্দার হোসেন, ইউনুস আলী, মনিয়ার মন্ডল, কবির হোসেন ও সলককে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে আসামি সলক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার তৎকালীন পরিদর্শক এএইচ এম লুৎফুল কবীর তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চাজশির্ট দাখিল করেন।
বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করেন। রায়ে আদালত অভিযুক্ত ৫ জনকে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
আলোচিত এ মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন ও আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খাঁন ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
রায় ঘোষণার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএইচ