ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উপ-পরিচালক জাহিদ আনোয়ার ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক তানভির হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহিদ আনোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার রাত ১১টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হুসনা আক্তারের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, জেদ্দা কনস্যুলেট হুসনা আক্তারকে উদ্ধারের জন্য নাজরান পুলিশকে অবহিত করে। হুসনা আক্তার সৌদি রিক্রুটিং অফিস ‘রুয়াদ নাজরান’র (লাইসেন্স নং- ৩৯১৮৬১৮) মাধ্যমে প্রায় তিন মাস আগে সৌদি আরব যান। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবার নাম মুজিবুর রহমান।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের উদ্যোগে হুসনা আক্তারকে উদ্ধারের পর সেফহোমে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিরাপদে আছেন। জেদ্দা থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে নাজরান পুলিশ হুসনা আক্তারকে উদ্ধার করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের দ্রুত হস্তক্ষেপে হুসনা আক্তারকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) উদ্ধার করা হয়।
এদিকে তিন সপ্তাহ আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন হুসনা। রোববার (২৪ নভেম্বর) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান নির্যাতনের শিকার হুসনা আক্তার। তার স্বামী তাদের এক আত্মীয়ের সাহায্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিও বার্তায় হুসনা আক্তার বলেন, ‘আমি আর পারতাছি না। তোমরা যেভাবে পারো আমারে তোমরা বাঁচাও। এরা আমারে বাংলাদেশ পাঠাইতো চায় না। এরা আমারে ইতা করতাছে। অনেক অত্যাচার করতাছে। আমারে ভালা কামের কথা কইয়া পাঠাইছে দালালে। আমারে ইতা করতাছে ওরা। আমি আর পারতাছি না সহ্য করতাম। তোমরা যেভাবে পারো আমারে নেও’।
চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে অন্তত ৯৬১ জন নারী সৌদি থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। গৃহকর্মে যাওয়া এই নারীদের বেশিরভাগই নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করছেন তাদের নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে। হুসনার মতো নাজরান শহরে থাকা গৃহকর্মী পঞ্চগড়ের সুমি আক্তারও ভিডিও বার্তায় তার উপর নির্যাতনের অভিযোগ দেশে জানিয়েছিলেন। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হলে গত ১৫ নভেম্বর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস