বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলানিউজকে দেওয়া এক লিখিত প্রতিক্রিয়ায় এ সন্তুষ্টির কথা জানান।
বুধবার দুপুরে হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানতে নাওকি ইতোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি জানান, আমরা আদালতের রায় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশের আদালত দ্রুত বিচারে পৌঁছেছেন, আমরা এ বিষয়টির প্রশংসা করি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, হলি আর্টিজান হামলার রায় উপলক্ষে আমি শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। ঢাকার জাপান দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করবে। আমরা জাইকা বাস্তবায়িত প্রকল্পসহ জাপানের বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে কাজ করবো।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট হামলায় যেসব বিদেশী নাগরিক নিহত হন, তাদের মধ্যে সাত জন ছিলেন জাপানি। সেদিন সেখানে আট জাপানি নাগরিক খেতে গিয়েছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে একজন জীবিত উদ্ধার হয়েছিলেন। নিহত জাপানিরা মেট্রোরেল প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।
ওই হামলার পর ঢাকায় বসবাসরত জাপানিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকেই তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তবে অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার কিছুদিন পর তাদের অনেকেই আবার ঢাকায় ফিরে আসেন।
হলি আর্টিজান হামলায় জাপানি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় পরবর্তীতে বাংলাদেশে জাপানের বিভিন্ন প্রকল্পে নিরাপত্তা জোরদার করে সরকার। একই সঙ্গে প্রকল্পগুলো যেন সচল থাকে, সে উদ্যোগও নেওয়া হয়।
হলি আর্টিজান হামলায় সাত জাপানি ছাড়াও, ইতালির নয়জন, ভারতের একজন ও তিন বাংলাদেশী নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
টিআর/এইচজে