বর্তমানে এটি মহাসড়কের পাশে হওয়ায় ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। স্মৃতিস্তম্ভটি যেন না ভেঙে ফেলে তার প্রতিবাদে ও সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাভারে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ধসেপড়া রানা প্লাজার সামনে এক সমাবেশের মাধ্যমে এ দাবি জানানবিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
তারা জানান, সাভারে বেশ কিছুদিন থেকে দেখছি রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে সরকার। এ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু, আমরা শুনতে পেলাম রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলা হবে। সরকারে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আর সরকার যদি মনেই করে সেটি সরানোর দরকার। তাহলে রানা প্লাজার ভবনের স্থলে এটাকে স্থাপন করতে পারে। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা সরকারের কাছে বার বার দাবি জানিয়ে আসছি, রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে সরকারি উদ্যোগে স্থায়ীভাবে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার জন্য কিন্তু সরকার তা করছে না।
রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ রানা প্লাজার সামনে আছে বলে ২৪ এপ্রিল নিহত শ্রমিকদের স্মরণে এখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা দিতে পারি ও রানা প্লাজার স্থানটা এখনো দখল করতে পারেনি।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আনিসুর রহমান নূরনবী, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামা, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী, গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি আল কামরান ও ইব্রাহিমসহ অনেকই।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর, ২০১৯
এএটি