বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়কে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
এরআগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই মামলার সব আসামিকে গাইবান্ধা জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য (জাপা) (অব.) কর্নেল আব্দুল কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়ি চালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানা।
সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি চন্দন কুমার ভারতে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া আরেক আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে এমপি লিটনের স্ত্রী খুরশিদ জাহান স্মৃতি দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ বাংলানিউজকে বলেন, এ মামলায় কাদের খানকে ফাঁসানো হয়েছে। মামলার রায় সন্তোষজনক না হওয়ায় আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবো।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ পর্যন্ত আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকুলী বুলবুল। তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়া লিটন হত্যার ঘটনায় অস্ত্র আইন মামলায় গত ১১ এপ্রিল আবদুল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯ আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা
এনটি