বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) স্থায়ী কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয়। জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেটকক্ষে কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুস শহীদ, মো. আফছারুল আমীন, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম (টিটু), মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, মো. জাহিদুর রহমান অংশ নেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২০১১-১২ অর্থবছরের হিসাব সম্পর্কিত বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের বার্ষিক অডিট রিপোর্ট ২০১২-১৩ এ অন্তর্ভুক্ত অডিট আপত্তির ওপর আলোচনা হয়।
অনুমোদিত ডিজাইন অনুসরণ না করে সম্পাদিত কাজের বিপরীতে মোট ১২ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৫ টাকা ব্যয়ে সুফল না পাওয়া, যৌথ পরিদর্শন, ছাড়পত্র গ্রহণ ও মন্ত্রণালয় প্রস্তাবিত কমিটির সামনে ডাম্পিং কাজ সম্পাদন ছাড়াই ঠিকাদারকে অনিয়মিতভাবে ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৬২ লাখ ৮৪৫ টাকা পরিশোধ, যথাযথ যাচাই/পরীক্ষা ব্যতীত অনিয়মিতভাবে দরপত্র গ্রহণ ও ১শ ৬৬ কোটি ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪৩ টাকা পরিশোধ, ননরেসপনসিভ/বাতিলযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও যোগসাজশের মাধ্যমে অনিয়মিতভাবে ২ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার ২৪৩ টাকার দরপত্র গ্রহণ, জরুরি পরিস্থিতি ব্যতীত এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে ডিপিএমের মাধ্যমে অনিয়মিত ব্যয় ১ কোটি ১৮ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৯ টাকা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভ্যাট বাবদ কম কর্তন ও কর্তন না করায় ১ কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজা ৬৩০ টাকা ক্ষতি, কর্তন করা ভ্যাট যথাসময়ে সরকারি কোষাগারে জমা না করায় সুদ বাবদ আদায়যোগ্য ৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৯ টাকা এবং ভ্যাট বাবদ ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৫৫ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৮১ হাজার ৯৯৪ টাকা সরকারি কোষাগারে জমার প্রমাণ না পাওয়া, পিপিআর-২০০৮ এর প্রবিধান লংঘন করে সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে (এলটিএম) দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে অনিয়মিতভাবে ৯৬ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়, পারফরম্যান্স সিকিউরিটি বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা না করা ও ঠিকাদার অসমাপ্ত কাজ ফেলে গেলেও পারফরম্যান্স সিকিউরিটি বাজেয়াপ্ত না করায় আর্থিক ক্ষতি ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার ১১৩ টাকা- সংক্রান্ত অডিট আপত্তির ওপর বৈঠকে সাক্ষ্যগ্রহণ, প্রশ্নোত্তর ও জেরা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
চারটি আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এসকে/এএ