বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের পর থেকেই লেশপ্রতাপ গ্রামের সাতরাজ নামক স্থানে খালের পাড়ে ঝোঁপের মধ্যে পড়েছিলেন সেই বৃদ্ধ। সবাই তাকে পাগল ভেবে চলে গেছে। সন্ধ্যা ৬টা গড়িয়ে যখন অন্ধকার নামতে থাকে, তখন কয়েকজন যুবক নৌকায় করে ওই বৃদ্ধকে দেখতে যান। গিয়ে দেখেন, তার পায়ে কোপের চিহ্ন, আর তা থেকে রক্ত ঝরছে। পরনেও কোনো কাপড় ছিল না। তখন ওই যুবকরা তাকে ধরে রাস্তায় নিয়ে এলে বরিশাল বিএম কলেজের এক ছাত্রী তার দু’টি ওড়না দেন বৃদ্ধের জন্য। একটি পরিধান করিয়ে আর অন্যটি ক্ষতস্থানে বেঁধে তাকে তখন সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সদর থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে দেখে আসে। অনেক লোক বৃদ্ধকে দেখলেও কেউ তাকে চিনতে পারেনি।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবুয়াল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃদ্ধের অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে, সেজন্য তার শরীর ভীষণ দুর্বল। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত। তার কোনো পরিচয়ও জানা যায়নি। একবার একটু হুঁশ ফিরেছিল, তখন তিনি অস্পষ্ট স্বরে শুধু ‘২০ বস্তা চাল’ বলে ওঠেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু তাহের মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ রোগীকে দেখে এসেছে। জ্ঞান ফিরলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএস/এইচএ/