বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে এ জাল ও পলিথিন উদ্ধার করা হয়।
এ সময় তিনজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।
জেলা মৎস অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসএ পরিবহনের কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখান থেকে ১১ বস্তায় ১১ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এসময় কারেন্ট জাল সংরক্ষণের অভিযোগে কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেল সহকারী মো. বেল্লাল হোসেনকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম শামীমের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। অভিযোগের শুনানির ভিত্তিতে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিদর্শক তোতা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসএ পরিবহনের কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ১৫ বস্তায় আনুমানিক ১৫শ কেজি অবৈধ পলিথিন উদ্ধার করা হয়।
এসময় অবৈধ পলিথিন সরবরাহ মজুদ ও পরিবহনের দায়ে কুরিয়ার সার্ভিসের বরিশাল কার্যালয়ের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম ও নগরের বাজাররোড এলাকার আয়েশা স্টোরসের মজিবর রহমানকে আটক করা হয়।
পরে তাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবদুল হালিম পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত উভয়কে ছয় মাসের কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএস/এবি