ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর জাদুকরী নেতৃত্বেই জনগণের জীবনমান এতো উন্নত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রীর জাদুকরী নেতৃত্বেই জনগণের জীবনমান এতো উন্নত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী লাউঞ্জ উদ্বোধন।

ঢাকা: দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড থেকে যাত্রী লাউঞ্জ উদ্বোধন কালে একথা বলেন।

মো. মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দর যে কোনো দেশের প্রবেশ দ্বার।

বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বা অভ্যন্তরীণ যে কোনো যাত্রীর কাছে দেশের উন্নয়ন প্রথমেই প্রতিফলিত করে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার আগ্রহ ও নির্দেশনায় দেশের বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নে বর্তমানে বেশ কিছু মেগা প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। পাঁচ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে শক্তিশালীকরণ ও এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ পুরুদমে এগিয়ে চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অচিরেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শুরু করবো যা নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩শ’ ৯৯ কোটি টাকা। এই টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ৩ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তন, ২০টি বোর্ডিং ব্রিজ, ২১টি কনভেয়র বেল্ট ও ১৭৭টি চেক ইন কাউন্টার নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বছরে মোট ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে পারবে।

বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ হাজার ৭শ’ ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ে শক্তিশালীকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। পাঁচ হাজার একশ’ ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ ও রানওয়ের দৈর্ঘ্য নয় হাজার ফুট থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ফুট করার প্রকল্প চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমাদের মুক্তির সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত মূল্যবোধ আমাদের উন্নয়নের মূলমন্ত্র। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, অজ্ঞতামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার। যে কোনো দেশপ্রেমিক বাঙালির চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।  বর্তমানে সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের কারণে আমাদের জনগণের জীবনমান এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। প্রধানমন্ত্রীর  হাত ধরে বাংলাদেশ এখন আলোক অভিসারের পথযাত্রী।

তিনি আরও বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি আমাদের বেসরকারি অংশীদারদের এগিয়ে আসা উচিত। আজকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেড থেকে যে লাউঞ্জটি উদ্বোধন হচ্ছে তা যাত্রীদের বিভিন্নভাবে সেবা দেবে। যাত্রীদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক করার জন্য ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
টিএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।