বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ শিক্ষক তৃতীয়দিনের মতো প্ল্যাকার্ড হাতে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে দাঁড়ালে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে সেখানে হাজির হন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া এ শিক্ষকের দাবি মেনে নিতে ‘স্টান্ড ইউথ রুশাদ ফরিদী স্যার’ ব্যানারে শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
২০১৭ সালে জুলাই মাসে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপাচার্য থাকাকালীন সিন্ডিকেট সভায় ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল নিজ বিভাগের ৩১ জন শিক্ষক রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে বলেছিলেন তার সঙ্গে কাজ করতে চান না। পরে এ শিক্ষক তখনকার উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), রেজিস্ট্রার এবং বিভাগের সভাপতি বরাবর উকিল নোটিশ পাঠান। অভিযোগটিকে মিথ্যা দাবি করে আদালতে মামলাও করেন তিনি। সেই মামলার রায়ে এ বছরের ২৫ আগস্ট উচ্চ আদালত রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের দেওয়া বাধ্যতামূলক ছুটির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন এবং একইসঙ্গে তাকে অনতিবিলম্বে কাজে যোগদান করার নির্দেশও দেন।
তবে বিভাগে আদালতের কপি জমা দিতে না পারায় যোগদান করতে পারছিলেন না তিনি। সর্বশেষ ক্লাসে ফেরার আকুতি জানিয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) প্ল্যাকার্ড হাতে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন এ শিক্ষক। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা আছে ‘আমি শিক্ষক আমাকে ক্লাসে ফিরে যেতে দিন’। তার এ প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে ড. রুশাদ ফরিদী বাংলানিউজকে বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। রায়ের কপি জমা দিতে না পারায় যোগদান করতে দিচ্ছে না। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে আদালতের রায়ের কপি পাওয়া সময়সাপেক্ষ। আমি তাদের এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/