ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রস্তাবনায়় যাদের নাম আলোচনায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রস্তাবনায়় যাদের নাম আলোচনায়

ঢাকা: জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আগামী ২০২০ সালের স্বাধীনতা পুরস্কারের প্রস্তাবনায় শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার, মরমী কবি শাহ আব্দুল করিম, বর্তমান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ অন্তত ১৬ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম আলোচনায় এসেছে।

মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রস্তাবনা তালিকা তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রস্তাবগুলো থেকে নাম চূড়ান্ত করবে।

মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে সংস্কৃতিতে প্রয়াত শাহ আব্দুল করিম ও মমতাজ বেগম ও কালীপদ দাসের নাম প্রস্তাবনায় এসেছে। শাহ আব্দুল করিমের নাম প্রস্তাব করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক। মানিকগঞ্জ জেলা থেকে এসেছে শিল্পী মমতাজের নাম। আর খুলনার জেলা প্রশাসক কালীপদ দাসের নাম প্রস্তাব করেছেন।

চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. ওবায়দুল কবীর চৌধুরীর নামও প্রস্তাব করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক। চিকিৎসাবিদ্যা অথবা সমাজসেবায় বা জন সেবায়় অধ্যাপক ডা. একেএমএ মুকতাদির এর নাম প্রস্তাব করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে মো. আব্দুল গফফার এর নাম এসেছে নীলফামারী জেলা থেকে। এই ক্যাটাগরিতে প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের নাম প্রস্তাব করেছে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন। খুলনা থেকে মরহুম এম এ গফুর, পাবনা থেকে মো. নুরুল কাদের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর নাম এসেছে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে।

সমাজসেবা বা জনসেবায় স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য এসএম আব্রাহাম লিংকনের নাম প্রস্তাব করেছে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন। শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের নাম এসেছে গাজীপুর থেকে।

টাঙ্গাইলের ভারতেশ্বরী প্রতিষ্ঠানকে সমাজ সেবায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নামের প্রস্তাব করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মকর্তারা জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কমিটি চূড়ান্ত করবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বর্তমানে স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেয় সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো স্বাধীনতা পদক। অনন্য সব পুরস্কারের সঙ্গে আগামী বছর থেকে স্বাধীনতা পুরস্কার অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’ প্রকাশ করে।

সরকারের এ নির্দেশনাবলী অনুযায়ী, স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে আগামী বছর থেকে ৫ লাখ টাকা পাবেন। আগে দেওয়া হতো ৩ লাখ টাকা।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।