শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।
এ দু’দিনে রাবি ও রুয়েটের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি।
শনিবার রাবিতে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অর্ভ্যথনা ও লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে গেলে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সমাবর্তন শোভাযাত্রা সহকারে রাষ্ট্রপতি রাবির একাদশ সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠানস্থলে যান। সেখানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার পর রাষ্ট্রপতি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এরপর রয়েছে ডিগ্রি উপস্থাপন ও প্রদান পর্ব, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্তদের সনদপত্র প্রদান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য, সমাবর্তন বক্তার বক্তব্য, সমাবর্তন স্মারক দেওয়া হবে। সবশেষে বক্তব্য দেবেন রাষ্ট্রপতি। শেষে রাষ্ট্রপতি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা পর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়বেন।
এদিন রাতে তিনি রাজশাহীতেই রাত্রিযাপন করবেন। সন্ধ্যায় তার আগমন উপলক্ষে রাজশাহী সার্কিট হাউসে রয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে গান-নৃত্যসহ রয়েছে ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রুয়েটের পঞ্চম সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন। সমাবর্তন আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হেলিকপ্টারযোগে আবারও রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন।
দু’দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি পদ্মাপাড়ের অপরূপ দৃশ্য দেখতে নদীর টি-বাঁধ পরিদর্শন যেতে পারেন। এর আগেও একইস্থানে সময় কাটিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ উপলক্ষে টি-বাঁধে ব্যাপক সাজসজ্জা করা হয়েছে। এজন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। টি-বাঁধের এই সৌন্দর্যকে আরও বিমোহিত করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির রাজশাহীতে আগমন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ জোরদার করা হয়েছে। এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স), পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্কাবস্থানে রয়েছেন।
রাবির প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতির আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বহিরাগত কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যম্পাসে আইডি কার্ড নিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এসএস/এএটি