ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাধবদীতে জেএমবির ফতোয়া নির্ধারক আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
মাধবদীতে জেএমবির ফতোয়া নির্ধারক আটক

নরসিংদী: নরসিংদীর মাধবদী হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আধ্যাত্মিক নেতা হাফেজ মাওলানা আতিক উল্লাহকে (৩৬) আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। 

শনিবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে মাধবদী থানার ছোট গদাইরচর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, লিফলেট, ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়।

বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন।

পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বলেন, হাফেজ মাওলানা আতিক উল্লাহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একজন ফতোয়া নির্ধারক ও দাওয়াতী শাখার সমন্বয়কারী। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হারকাতুল জিহাদের (হুুজি) দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় হুজি নেতা আব্দুর রহমান ও সম্প্রতি ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া আফগান ফেরত মুজাহিদ আতিকুল্লাহর কাছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এরপর এক জেএমবি নেতার (২০১৪ সালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত) মাধ্যমে তখন জেএমবিতে যোগদান করে।

তিনি আরো বলেন, আতিকুল্লাহ মূলত ফেসবুক, টুইটার ও টেলিগ্রাম আইডি’র মাধ্যমে তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তিনি ঢাকার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি জেএমবির কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করত। সে বর্তমান সরকারকে তাগুত সরকার আখ্যা দিয়ে দেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য জেএমবি’র সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিতে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী সংগঠনের কার্যক্রমকে সমর্থনের পাশাপাশি দেশে জেএমবি’র বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডকে ইসলামিকভাবে সঠিক প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন হাদিসের অপব্যাখ্যা ও ফতোয়া দিয়ে আসছিল। এর পাশাপাশি সরকারকে কর দেওয়া হারাম ও এটা জিনা’র চেয়েও গুনার কাজ বলে একটি ফতোয়া প্রদান করেছে।

গত ২৭ নভেম্বর (বুধবার) ফেনী থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সাইফুল্লাহ, মাহাদী ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে দাউদ, আজিজুল হক ও ইদ্রিস আতিকুল্লাহর মাধ্যমে জেএমবি’তে যোগদান করেছিল। আতিকুল্লাহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সফরের মাধ্যমে জেএমবি’র কর্মী সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় জেএমবি’র কার্যক্রমকে বৃদ্ধি করার জন্য ফেনীর কয়েকটি জায়গায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়ে নাশকতামূলক কার্যক্রম করার পরিকল্পনা করেছিল।

এছাড়া আটক হওয়া হাফেজ মাওলানা আতিক উল্লাহ র‍্যাব-১১ কর্তৃক দায়েরকৃত ফতুল্লা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী (জঙ্গি) মামলার পলাতক আসামি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি স্বীকার করে সে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে সংগঠিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।