ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলাহাটে ভূতের রাস্তায় কোটি টাকার ব্রিজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
ভোলাহাটে ভূতের রাস্তায় কোটি টাকার ব্রিজ ছবি: বাংলানিউজ

চাপাইনবাবগঞ্জ: সরকার যখন গ্রাম ও শহরের পার্থক্য না রাখতে যোগাযোগসহ নানামূখী উন্নয়নে ব্যস্ত, ঠিক এমন সময় ভোলাহাটের ভূতের রাস্তায় একটি ব্রিজ নির্মাণের নামে কোটি টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।

২০১৪-১৫ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালর্ভাট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি সেতু নির্মাণ হয়েছে ভূতের রাস্তায়। অপরিকল্পিতভাবে একই অর্থ বছরে মানুষের যোগাযোগের কোন রাস্তা না থাকলেও এ ৩টি সেতু কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়।

প্রকল্পগুলো উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের খালেআলমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিমে প্রধান রাস্তার পাশে খাড়ির উপর নির্মাণ করা হয়। যার দৈর্ঘ্য ৩৯-০০ ফিট। ব্যয় ধরা হয় ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৪২৫ টাকা। অপরদিকে একই ইউনিয়নের বজরাটেক মুন্সিগঞ্জহাটের উত্তর দিকে একই মাপের এবং সমপরিমাণ অর্থ ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির বরাদ্দের পরিমাণ ও প্রকল্পের নাম ঠিকানা ফলকের উপর থেকে হারিয়ে গেছে। অন্যদিকে ভোলাহাট ইউনিয়নের ঝাউবোনা সাবুশা দর্গা দিয়ে কওমী মাদ্রাসা যাওয়ার পথে ক্যানেলের উপর ৩৯-০০ ফিট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি সেতু নির্মাণ হয়। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৪ শত ৮২ টাকা। সেতুগুলো যে স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তার এপারে কিংবা ওপারে কোন রাস্তা না থাকা সত্বেও সেতু নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ করে ভূতের রাস্তার সেতু বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, সেতু ৩টির দুই মাথায় সরকারি বা বেসরকারি কোন রাস্তা নেই। এমনকি সেতু ৩টি নির্মাণের পর দুই মাথায় এখন পর্যন্ত মাটি ভরাট না করায় সেতুর ২ পাশে খাল হয়ে আছে। ফলে ভোলাহাট ইউনিয়নের ঝাউবোনা সাবুশা দর্গা দিয়ে কওমী মাদ্রাসা যাওয়ার পথে ক্যানেলের উপর সেতুর পাশের আম বাগানের মাটি ক্যানেলে ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারের কোটি টাকা লুটপাট করার উদ্দেশ্যে একটি গোষ্টী সেতু ৩টি অপ্রয়োজনীয় জায়গাতে নির্মাণ করেছেন। একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আনলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো তার সময়কালে না হওয়ায় তার কিছুই জানা নাই। প্রকল্পগুলো কি অবস্থায় আছে তাও তিনি বলতে পারেননি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এমআরপি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।