ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধে ভোগান্তিতে বাগেরহাটের যানচালকরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধে ভোগান্তিতে বাগেরহাটের যানচালকরা

বাগেরহাট: জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ও ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে বাগেরহাটের পেট্রোল পাম্পগুলো তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। 

রোববার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতিসহ জ্বালানি ব্যবসায়ীরা এ কর্মবিরতি শুরু করেন।  

তবে স্থানীয়ভাবে খুচরা পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রেতাদের কাছ থেকে তেল পাওয়া যাচ্ছে।

ধর্মঘটের খবর পেয়ে তারা প্রতিলিটারে ১০ টাকা বাড়িয়ে তেল বিক্রি করছেন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে শহরের খানজাহান আলী ফিলিং স্টেশনে দেখা যায়, পাম্পের সামনে তেলের ড্রাম দিয়ে বেরিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বেরিকেডের সামনে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন অপেক্ষমান রয়েছে।  

মোটরসাইকেলচালক লতিফ জোয়াদ্দার বলেন, সকালে পাম্পে আসি তেল নিতে। কিন্তু এসে দেখি তেল বিক্রি বন্ধ। খুব ঝামেলায় পড়েছি। কীভাবে অফিসে যাবো এখন।

ট্রাকচালক ইউনুস বলেন, মালভর্তি ট্রাক। পাম্পে এসে দেখি তেল বিক্রি বন্ধ। কীভাবে সময়মতো মাল পৌঁছাবো এ নিয়ে খুব টেনশনে আছি।

পাম্প শ্রমিক আছাদ বলেন, ভোর থেকে আমরা এ কর্মবিরতি শুরু করেছি। ১৫ দফা দাবি না মানলে মালিকরা বাঁচতে পারবে না। আর মালিকরা না বাঁচলে আমাদের কীভাবে তারা বেতন দিয়ে রাখবেন। তাই সরকারের কাছে দাবি, যাতে দ্রুত সম্ভব আমাদের এ দাবি মেনে নেওয়া হোক।

বাগেরহাট খানজাহান আলী ফিলিং স্টেশনের মালিক পক্ষের একজন কাজী মো. বাশার বলেন, ভোর থেকে তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছি। যদি সরকার আমাদের দাবি না মেনে নেয়, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ অবরোধ চলবে। প্রয়োজনে পাম্প বন্ধ থাকবে। পাম্পের জায়গায় মুদি দোকান করবো। তারপরও আমরা আর তেল বিক্রি করবো না।

দাবিগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট না-কি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংকলরির ভাড়া বাড়ানো, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রোল পাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ পেট্রোল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংকলরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রোল পাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রোল পাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের আগে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংকলরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।