ছিনতাইয়ের ঘটনাটিও অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। কালিগঞ্জ থেকে ছিনতাই করে তারা আশাশুনিতে গিয়ে মোটরসাইকেলের রং পরিবর্তন করে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিং করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর বিকেলে কালিগঞ্জের পাওখালী থেকে বিকাশ এজেন্টের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এ ঘটনার তদন্ত করে ছিনতাইয়ের মূলরহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় জেলা পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোট নয়জন জড়িত ছিল। এর মধ্যে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
এরই মধ্যে দুই আসামি সাইফুল ইসলাম ও দ্বীপ গত ২৯ নভেম্বর রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
অস্ত্রসহ আটক দু’জন আসামি আজিজুর রহমান ও সামী হাসান ওরফে সোহানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ৩১ অক্টোবর কালিগঞ্জ উপজেলার পাওখালী থেকে বিকাশের দুই এজেন্টকে গুলি করে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাইফুল ও দ্বীপকে প্রথমে গ্রেফতার করা হলে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে জানায় ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান।
পরে তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র, গুলি, দুটি মোটরসাইকেল, সুইচযুক্ত চাকু এবং নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, সাইফুল ও দ্বীপ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও সৈয়দ সাদিকুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের হওয়া কয়েকজনকে পুলিশ এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছে জানিয়ে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এসএইচ