অভাবের তাড়নায় জয়পুরহাট জেলা ক্রিকেট দলের একজন সুনামধর্মী খেলোয়াড়কে বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এখন ঢাকার একটি পোশাক কারখানার চার দেওয়ালে বন্দি থাকতে হয়। এরপরও পরম মমতাময়ী বিধবা মা, স্ত্রী আর একমাত্র সন্তান আবিদ হোসেনকে নিয়ে একটু ভালোভাবে যখন বাঁচতে চাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়েই যেন উঁকি দিলো একটি অজানা বিপদ!
মাসুম হোসেনের ১১ মাস বয়সী সন্তান আবিদ হোসেনের পেট আরও ১০ জন শিশুর তুলনায় অস্বাভাবিক বড়! এতে সে সারাদিনই কাঁদতে থাকে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবিদের প্রস্রাবের ডান পাশের টিউবটি ব্লক হয়ে কিডনিতে পানি জমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই একটি কিডনির ৮ এমজি/ ডিএল নষ্ট হয়ে গেছে। শিগগিরই অপারেশন করাতে না পারলে ফুটফুটে এই অবুঝ শিশুটিকে হয়তোবা পৃথিবীর আলো-বাতাস ছেড়ে খুব দ্রুতই বিদায় নিতে হবে।
সন্তানের এমন করুন পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যেই দরিদ্র বাবা মাসুম ২০/২৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক রংপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে আবিদের অপারেশন করাতে অন্তত দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অভাবের সংসারে চার সদস্যের মুখে যেখানে ঠিকমতো খাবারই তুলে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। সেখানে একসঙ্গে এত টাকার জোগান দেবেন কীভাবে? এমন চিন্তায় দিশেহারা শুধু মাসুমই নয়, তার স্ত্রী ও বিধবা মাও যেন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বাসিন্দা আ স ম তিতাস মোস্তফা জানান, দরিদ্র বাবার একমাত্র সন্তানকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ। যেভাবে এর আগে জয়পুরহাটবাসী বিভিন্ন সময়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আবিদ হোসেনের অপারেশনের জন্য সহায়তা পাঠাতে মোছা ফাহিমা খাতুন, সঞ্চয়ী হিসাব নং ২৪৩২৬, অগ্রণী ব্যাংক, জয়পুরহাট শাখায় যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তার অসহায় বাবা গার্মেন্টসকর্মী মাসুম হোসেন ও মা রাজিয়া খাতুন। বিকাশ নং ০১৯১২৩১৩২৫৬।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এএটি