রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখের পরিচালনায় উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কালশিমাটি ও রামনগর গ্রামের মধ্য দিয়ে বহমান করতোয়া নদীর অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার মেশিন, দুইটি শ্যালো মেশিন ও এক হাজার ফুট প্লাষ্টিকের পাইপ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন, শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হকসহ উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জানা গেছে, প্রায় মাসখানেক ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র ও দলীয় কিছু নেতাকর্মী করতোয়া নদীর উক্ত স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এতে করে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি ও অসংখ্য বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। ফলে ওইসব আবাদি জমি চাষাবাদ করে জীবিকা-নির্বাহ করে আসা স্থানীয় গরীব কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বাংলানিউজকে জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে পারবে না। তাই অভিযানটি চালানো হয়। একইসঙ্গে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
কেইউএ/এমএইচএম