রোববার (০১ ডিসেম্বর) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম নগরের একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আবিদ উদ্দিন গোলাপগঞ্জের বাঘা ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের মৃত ডা. আমিন উদ্দিনের পুত্র।
সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার মো. এমরান আলী পিপিএম বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সেনানীবাস নির্মাণের (এল. এ মামলা নং ০১/২০১৩-১৪) মূলে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিগ্রস্থ প্রকৃত মালিকদের টাকা জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় জমা হয়।
কিন্তু দাবিদারদের মধ্যে আবিদ উদ্দিন বিভিন্ন ব্যাক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র, জালিয়াতির মাধ্যমে জাল আমমোক্তারনামা তৈরি করে এর সঙ্গে জাল দলিলাদিসহ সংযুক্ত করে তা দাখিলের মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।
তিনি বলেন, সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মৃণাল কান্তি দেব ভূমি অধিগ্রহণ শাখা পরিদর্শন করলে বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি একটি প্রতিবেদনে জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পরে গত বছরের ৩ আগস্ট জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
কোতোয়ালি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আরাফাত জনি প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন। পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি’র হাত বদল হয়ে মামলা যায় সিআইডি’র হাতে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি আবিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ওই ভূমি ৭৪-৭৫ সালে ভূমিহীনদের ইজারা দেয় সরকার। এসব ভূমির মালিকদের অনেকে মারা গেলেও তাদের প্রকৃত উত্তরাধীকারীরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার কথা। ওখানে আসামি আবিদও ৩/৪ দাগের কিছু ভূমির মালিক হলেও তিনি ২৫/২৬ টি জাল আমোক্তারনামা সৃজন করে টাকা আত্মসাত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এনইউ/ওএফবি